| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে’


‘ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে’


রহমত নিউজ     18 September, 2023     09:26 PM    


 ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- এর আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী রেজাউল করীম বলেছেন, দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে না দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জাতীয় সরকারের ঘোষণা দিতে হবে। জনমতের প্রতি তোয়াক্কা না করে ক্ষমতায় জোরে থাকার চেষ্টা করলে সরকারের জন্য সুখকর হবে না। দেশে কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনজীবন অতিষ্ঠ প্রায়, এদিকে সরকারের কোন নজর নেই। সরকার আছে শুধু কিভাবে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করবে তা নিয়ে। এতে মানুষের জীবন গেলেও সরকারের কোন কিছু যায় আসে না। শেখ হাসিনার সরকার স্বাধীনতার ৫২ বছরের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে দিনের ভোট রাতে গ্রহণ করে। তিনি বলেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হত্যা করেছে। কথিত শান্তি সমাবেশে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ‘শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে’ চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে আরো উস্কে দিয়েছে। দেশের নিবন্ধিত অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না। নির্বাচনের নামে জাতির সাথে প্রহসন না করে দলীয়ভাবে বিজয়ী ঘোষণা দিলেই হয়, রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করার কী দরকার? আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাপ্রেমী। তাই যে কোনভাবে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক ফেনী মিজান ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা শাখার উদ্যোগে,  অথর্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন  পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, জাতীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রাজপথ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সঙ্কট আরো ঘুণিভূত হচ্ছে। সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ন্যায় কলঙ্কিত নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। তিনি বলেন, সংবিধান রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে। তারাই বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল ও অবরোধ করেছে, ৫ শতাধিক মানুষ হত্যা করেছে। কাজেই সংবিধানের দোহাই সরকারের মুখে মানায় না।

জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন, আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মাওলানা  খলিলুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

সংগঠনের ফেনী জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল করিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়ার স ালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, মাওলানা নুরুল করিম বেলালী, মাওলানা কাজী গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা মীর আহমদ মীরু,সহ -সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া, গাজী এনামুল হক ভূঁইয়া, মুফতি ইউসুফ কাসেমী সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা নাসির উদ্দিন, মাওলানা নুর মোহাম্মদ আজমী, মুফতি সালাহুদ্দিন আইয়ুবি, এইচএম নুরুজ্জামান সহ আন্দোলনের জেলা নেতৃবৃন্দ, সহযোগী সংগঠনের জেলা দায়িত্বশীল ও থানা নেতৃবৃন্দ।

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। তিনি মেহনতি, কর্মজীবী, শ্রমজীবী, আলেম-ওলামা, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবি সংগঠনসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে আওয়ামী স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।